নিজস্ব প্রতিবেদক।। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা বটতলী গ্রাম।গ্রামটি ক্রাইম জোন হিসেবেও প্রসিদ্ধ।গ্রামটি মায়ানমার সীমান্তে হওয়ায় অধিকাংশ লোক মাদকের সাথে সম্পৃক্ত,অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্যতম বটতলী এলাকার বদিউর রহমানের দুই ছেলে তারেক ও লালু। এই দুই সহোদর গোপনে ইয়াবা কারবার চালিয়ে গেলেও সম্প্রতি ইয়াবা নিয়ে তাদের সিন্ডিকেটের অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে।
সূত্রে পাওয়া,তারেক এর ভাই লালু একজন মিনি ট্রাকের হেলপার,লালু হেলপারের ছদ্মবেশে ইয়াবা পাচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এখনো এই দুই সহোদরের ইয়াবা সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে,ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় পাচার হচ্ছে লাখ লাখ ইয়াবা।দুই সহোদর মাদকের টাকার গরমে বটতলী এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ালেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাইনা।সীমান্ত এলাকায় দুই ভাইয়ের রয়েছে ইয়াবা পাচারের বিশাল সিন্ডিকেট,এই সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইয়াবা পাচার করে আসছে।
জানা যায়, তারেক সীমান্ত থেকে ইয়াবা আনতে গিয়ে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সদস্যদের দাওয়া খেয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিল,অনেকদিন সে এলাকায় প্রকাশ্যে প্রবেশ করতে না পারলেও গোপনে প্রবেশ করে তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে ইয়াবা ব্যবসা চলমান রাখে। তারেক এর ভাই লালু ইয়াবার একটি বিশাল চালান লুট করে বর্তমানে আত্নগোপনে রয়েছে।
পালংখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বলেন,দিন দিন পালংখালীতে মাদকের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, পালংখালী বাজারে হাত বাড়ালে মিলে ইয়াবা।বর্তমানে পালংখালী ইয়াবার সর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।কয়েদিন আগে পালংখালী বাজারের আবদুর রহিমের দোকানের সামনে থেকে দশ হাজার ইয়াবা নিয়ে দুই জন আটক হলেও এই ইয়াবা গুলোর মূল মালিক রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এইভাবে রয়ে যাচ্ছে মাদকের গডফাদার গুলো।
সচেতন মহলের দাবী, এইসব অবৈধ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের আরো কঠোর নজরদারী প্রয়োজন,পালংখালীর বটতলী এলাকা এখন ইয়াবা প্রবেশের সেকেন্ড রোড়, ইয়াবার গডফাদারদর আইনের আওতায় না আনলে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে জানতে লালু’র মুঠোফোনে কল দিলে সে কল কেটে দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/শিরিন আলম